ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে শনিবার এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান।
শুক্রবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি ঝোপ থেকে ওই নারী শ্রমিকের (১৯) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শনিবার ওই নারীর ভাই বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেছেন।
পরে বাস চালক ফিরোজ ওরফে সোহেলকে (৩০) ধামরাই উপজেলার জেঠাইল গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোহেল ডাউটিয়া ওইদিন এলাকার প্রতীক সিরামিক্স কারখানার শ্রমিক বহনকারী একটি বাসের চালক ছিলেন।
ওসি দীপক চন্দ্র বলেন, বাস চালককে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তিনি ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে ওসি জানান।
এই নারী শ্রমিক প্রতীক সিরামিক্স কারখানায় কাজ করতেন।
ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আবু সাঈদ বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মা বাড়ির পাশ থেকেই কারখানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠিয়ে দেন। কিন্তু সন্ধ্যার পরও মেয়ে বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও সন্ধান না পেয়ে রাতে ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা রাতে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে সড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের একটি ঝোপে তার লাশ খুঁজে পান।