শনিবার শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খায়রুল কবির সুমন জানান, শীতের কারণে শিশুদের ডায়রিয়া এবং বড়দের এজমা রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে।
“শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। শিশু এবং বড়সহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভর্তি রয়েছে ১৬ জন।”
শৈত্যপ্রবাহের কারণে হাসপাতালের আউটডোরেও রোগী বেড়েছে বলে জানান তিনি।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এসব রোগে আক্রান্ত ৭১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে আরও অধিক সংখ্যক রোগী ভর্তি হতে পারেন।
গত এক সপ্তাহে ভর্তি ছাড়াও আউটডোরে অনেক ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ জেলায় রাত-দিন কনকনে বাতাস বইছে। মাঝারি ঘন কুঁয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে শেরপুরে মানুষজনের জবুথবু অবস্থা, স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে তাদের।
ঝিনাইগাতীর তিনআনী থেকে আসা সখিনা বেগম গত দুদিন ধরে শিশু মেয়েকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
তার শিশু মেয়ের বমি বন্ধ হলেও পাতলা পায়খানা কমছে না বলে জানান তিনি।
শেরপুর টাউনের চকপাঠক এলাকার সিদ্দিক হোসেন তার শিশু ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেন শুক্রবার দুপুরে।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অনেক শিশুরোগীর অভিভাবক অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে তাদের সন্তান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান।
টয়লেটের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ডা. খায়রুল কবির সুমন বলেন, অতিরিক্ত রোগীর চাপে টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, একশ শয্যার এ হাসপাতালে তিন থেকে সাড়ে তিনশ রোগী চিকিৎসা নেওয়ায় প্রায়ই সেপটিট্যাংক ওভারলোড হয়ে যাচ্ছে। এটা সমস্যার সমাধানের জন্য গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নকর্মী লাগিয়ে যথা সম্ভব পরিষ্কার রাখার চেষ্টা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করছে বলেও জানান তিনি।