শুক্রবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার মাকে সনদ, ক্রেস্ট ও চাদর উপহার দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এবিএম তারিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান, পৌরমেয়র তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা শায়খুল ইসলাম বলেন, “যাদের উৎসাহে আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দেশের জন্য লড়াই করে স্বাধীনতা এনেছি, তাদের কথা কখনও কেউ খেয়াল করেনি। মায়েদের সম্মান জানানোয় আমরাও প্রকৃতপক্ষে সম্মানিত হয়েছি।”
এভাবে মায়েদের সম্মান জানালে দেশের প্রতি অন্য সন্তানদেরও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানের মা নাজমা খাতুন (৮৯)।
তিনি বলেন, “কখনও ভাবিনি ছেলের জন্য আমাকেও সম্মান জনানো হবে। মা হিসেবে ওর মত সন্তান জন্ম দেওয়াটা আজ সার্থক হল।”
তেঁতুলিয়ার সরদারপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হকের মা এলতেজা বেগম (৯০) বলেন, “জীবনের শেষ সময়ে এই ভালবাসা পেয়ে বেশ তৃপ্তি পাইছি। এখন মরে গেলেও শান্তি পাব।”
মায়েদের সম্মাননা দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের মায়েদের ভূমিকাও কম নয়।
“সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়ে তারা যেমন প্রতিনিয়ত নানা শঙ্কায় ছিলেন তেমনি চেয়েছিলেন প্রিয় দেশটা যেন স্বাধীন হয়। এজন্য নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে মায়েদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।”