বৃহস্পতিবার বিকালে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় কথিত অপহরণকারীর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
তবে অপহরণকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বুধবার একই এলাকার যুবক আশ্রাফুল আলম হৃদয় মেয়েটিকে অপহরণ করেছে বলে ওই মেয়ের মা মামলায় অভিযোগ করেছেন।
আশ্রাফুল আলম হৃদয় দাগনভূইয়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী খুরশিদ আলমের ছেলে।
দাগনভূইয়া থানার ওসি আসলাম শিকদার বলেন, অপহরণকারী আশ্রাফুল আলম হৃদয়ের বাবার দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার বিকালে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় অপহরণকারীর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
“এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী আশ্রাফুল পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বুধবার দুপুরে দাগনভূঞা বালিকা বিদ্যালয়ের এই এসএসসি পরিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে স্কুল যাচ্ছিল। পথে পৌরসভার বেতুয়া গ্রামে ৭-৮ জন যুবক তাকে অপহরণ করে। তারা ছাত্রীটিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় বুধকার বিকালে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আশ্রাফুলকে আসামি করে দাগনভূঁইয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা করার পর আশ্রাফুলকে না পেয়ে পুলিশ তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
এই ছাত্রীর মা বলেন, হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি এই বিষয়টি তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহীনকে জানান। এক পর্যায়ে ‘বখাটে’ আশ্রাফুল তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারা প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ‘বখাটে’ আশ্রাফুল ও তার সঙ্গীরা মেয়েকে অপহরণ করে।