গোপালগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

গোপালগঞ্জে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে বহুতল মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2020, 05:04 AM
Updated : 9 Jan 2020, 05:04 AM

মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষির ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিনা ও তার ভাই হাজী মো আল আমিন মিনার বিরুদ্ধে গত ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, “এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।”

অভিযোগে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান মো আসাদুজ্জামান মিনা ও তার ছোট ভাই মো আল আমিন মিনা প্রভাব বিস্তার করে জলিরপাড় বাজারে ১৭৬ নং বনগ্রাম মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৬৫২ নং দাগের ১১৫ হতে ১২৮ নং মোট ১৪টি সরকারি চান্দিনা ভিটা অবৈধভাবে দখল করে তিনতলা মার্কেট নির্মাণ করেছেন। তারা মার্কেটের দোকান ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

অভিযোগকারীরা ওই দু’ভাইকে সরকারি জায়গা থেকে উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ী ইনায়েত হোসেন লিপন বলেন, “ননীক্ষির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করে বহুতল মার্কেট করেছেন। এখন তিনি এ অবৈধ মার্কেট থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

“অবৈধ মর্কেটটি উচ্ছেদ করে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।”

এছাড়াও জলিরপাড় বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, আসাদুজ্জামান মিনা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই সরকারি সম্পত্তি দখলের পায়তারা শুরু করেন। ওই মার্কেটের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মুখ খুলতে  সাহস পায় না।

এখনই ব্যবস্থা না নিলে এ ভূমিদস্যুরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো আসাদুজ্জামান মিনা সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি আমার দলিলের সম্পত্তিতে মার্কেট নির্মাণ করেছি। সরকারি ডিসিআরের সম্পত্তিতে আমি কোন স্থাপনা নির্মাণ করিনি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে।”

এদিকে সরকারি জায়গা দখলের সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে জলিরপাড় ইউনিয়ন সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) লিপটন মন্ডল (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমি ও মুকসুদপুর উপজেলা এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার  গত ৬ জানুয়ারি ওই সম্পত্তি পরিমাপ করেছি। তাতে ওই মার্কেটের মধ্যে লম্বা ১৯৪ ফুট সরকারি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।

“এছাড়া মার্কেটের পুব পাশে সাড়ে ৪ ফুট ও পশ্চিমপাশে ৬ ফুট সরকারি জায়গা রয়েছে বলে পরিমাপে স্পষ্ট হয়েছে। পরিমাপের প্রতিবেদন আমি মুকসুদপুর এসিল্যান্ড অফিসে পাঠিয়েছি।”

মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসমত হোসেন জানান, ওই সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদের জন্য ‘উচ্ছেদ নথি’ গত বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।