দুষ্প্রাপ্য ঔষধি ‘চিয়া’ বীজের বাংলাদেশে সফল চাষ

পুষ্টি ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন দুষ্প্রাপ্য ফসল ‘চিয়া’ বীজ বাংলাদেশে চাষ সম্ভব বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দিনাজপুর প্রতিনিধিমোর্শেদুর রহমান, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2020, 07:18 AM
Updated : 8 Jan 2020, 07:50 AM

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারের পর দিনাজপুরে এক কৃষক চিয়া বীজের চাষে সফলতা পেয়েছেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েরকৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে রবি ফসল চাষযোগ্য যেকোন জমিতে চিয়া চাষ সম্ভব।

ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগসহ অনেক রোগ প্রতিরোধে সক্ষম চিয়া বীজ উল্লেখ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঔষধি গুণ সম্পন্ন এ দানাদার ফসল চিয়ায় প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্টসহ ও প্রোটিন রয়েছে।”

খৃষ্টপূর্ব কাল থেকে মেক্সিকো, গুয়েতেমালা ও কলম্বিয়াসহ আমেরিকার কয়েকটি দেশে ঔষধি ফসল চিয়া চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে চিয়ার পরিচিতি ও ব্যবহার কম হলেও আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা ব্যাপক।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েরকৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মশিউর রহমানের সহযোগিতায় ২০১৭ সালে প্রথম পাঁচ শতক জমিতে চিয়া চাষ করে ১০ কেজি চিয়া উৎপাদন করেন কৃষক নুরুল আমিন।

দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন গ্রামে কৃষক নুরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাফল্য পেয়ে এবার ৪৫ শতক জমিতে চিয়া চাষ করেছেন।

বাংলাদেশে চিয়া আমদানির সাথে সংশ্লিষ্টরা এক হাজার টাকা কেজি দরে চিয়া কিনে নিতে এরইমধ্যে তার সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।

প্রফেসর ড. মশিউর রহমান জানান, ২০১৬ সালে কানাডার এক বন্ধুর কাছ থেকে এক কেজি চিয়া বীজ পেয়ে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে প্রথম চিয়া চাষ করেন।
তাতে সফল হওয়ায় আগে থেকে পরিচয় থাকায় কৃষক নুরুল আমিনকে চিয়ার বীজ দিয়ে চাষে সহযোগিতা করেন তিনি।

গত সোমবার নুরুলের চিয়া চাষের সাফল্য দেখতে সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক এবং হর্টিকালচারে পরিচালকসহ একদল উর্ধ্বতন কৃষিবিদ।