এই দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের দাময়ী চত্বরে মানববন্ধন করেন এপেক্স ক্লাব অব জামালপুরের সদস্যরা।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে শেলু আকন্দের উপর হামলা চালানো হয়। শেলু আকন্দের বড়ো ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য হাসানুজ্জামান খান রুনু, তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাকিব খান, শহরের দেওয়ানপাড়ার তুষার খান, তুহিন খান, সজল খান ও সিদ্দিক মন্ডল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে হাসানুজ্জামান খান রুনু, তার ছেলে রাকিব খানসহ একদল ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী’ সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা লোহার রড, জিআই পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শেলু আকন্দের দুই পা ভেঙ্গে দেয়।
বর্তমানে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানান, ঘটনার পর আসামি রাকিব খান ও তুষার খানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাউন্সিলর রনু খানসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে বলে পুলিশ আশা করছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, এপেক্স ক্লাবের সভাপতি আবু সায়েম, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আকন্দ রিপন, সাংবাদিক এম এ জলিল, দুলাল হোসাইন, জাহাঙ্গীর সেলিম, জাহাঙ্গীর আলম, মোস্তফা মমনজু, কাফি পারভেজ প্রমুখ।
তারা অবিলম্বে কাউন্সিলর রুনু খানসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন। অন্যথায় সাংবাদিকরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন।
শেলু আকন্দ বলেন, ২০১৯ সালের ২৮ মে জামালপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দৈনিক কালেরকন্ঠের জামালপুর প্রতিনিধি মোস্তফা মঞ্জুর উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী হয়েছেন তিনি (শেলু আকন্দ)।
মামলার সাক্ষী হওয়ায় তার উপর এই হামলা করা হয়েছে বলে শেলু আকন্দের ভাষ্য।
শেলু আকন্দ জানান, তিনি পঙ্গু হাসপাতালে ডা. সবুর ও ডা. দিপঙ্করের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
“আমার দুই পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে। আগামী রোববার (১২ জানুয়ারি) দুই পায়ে অস্ত্রপচার করা হবে।”
পা দুটো রাখা যাবে কি না কেটে ফেলতে হবে তা অস্ত্রপাচারের পর জানা যাবে বলেছেন চিকিৎসকরা, বলে শেলু।
এর আগে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জামালপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।