জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরঙ্গী মোড়ে পুরাতন ডাকবাংলা এলাকায় এই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তারেক হাসান বলেন, “খালের ওপর নির্মাণাধীন জেলা পরিষদের এই ভবনটির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ভবনের যে অংশ খালের ওপর পড়েছে সেটা ভেঙে ফেলা হবে।”
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা শিকদার বলেন, আগের চেয়ারম্যান কিভাবে সরকারি খালের ওপর ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন তা তার জানা নেই। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সরকারি নীতমলা অনুযায়ী কাজ করা হবে।
এদিকে এই ভবনের দোকান বরাদ্দ নিয়ে দোকানিরা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেলোয়ার শিকদার নামে এক ব্যক্তি এই ভবনে দোকান বরাদ্দ পেতে টাকা জমা দিয়েছেন দাবি করে বলেন, “টাকা জমা দেওয়ার পর শুনছি ভবনটি সরকারি খালের ওপর হওয়ায় উচ্ছেদ করা হবে। তাহলে আমাদের টাকার কী হবে? আমরা যারা টাকা জমা দিয়েছি তারা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি।”
২০১২ সালে ৪২ কোটি ৭২ লাখ টাকায় সাত তলার এই ভবনটি নির্মাণকাজ শুরু হয় বলে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর হোসেন জানিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনের নির্মাণকাজ স্থগিত আছে।