মঙ্গলবার ভোর ৬টায় উপজেলার কায়েমপুর এলাকায়মু ফতি নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন তৃতীয় তলা বাড়ির নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “রানান ঘরের গ্যাসের লাইনে লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।”
দগদ্ধরা হলেন- শরীফ হোসেন (৩৫) ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার (৩০)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ পরিদর্শক আবুল খান বলেন, “দগ্ধদের মধ্যে শরীফের শরীরের ৫৫ ভাগ এবং ফরিদার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের দুইজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। “
এছাড়া বাড়ির ম্যানেজার আব্দুল ওহাব মিয়া জানান সামান্য দগ্ধ হয়েছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান, বাড়িটির নিচ তলায় কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকেন। আর উপরের দুই তলা, তিন তলা ও ছাদে টিনের ঘর তৈরি করে সেখানে ‘জামিয়া দারুস সালাম নামে’ একটি মাদ্রাসা চালান বাড়ির মালিক মুফতি নজরুল ইসলাম।
ভোরে বাড়ির নিচ তলায় বিটক শব্দে বিস্ফোরণের ঘটে। এ সময় আশপাশের লোকজন গিয়ে শরীফ ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
যে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে ঘরে গ্যাসের চুলা রয়েছে। গ্যাসের লাইনে লিকেজ ছিল বলে বাড়ির ম্যানেজার অনেক আগে থেকে জানলেও কোনো সমাধান করেনি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।