সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লিটন খান (৪০) ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের ছবির উদ্দিন খানের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালন করেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নূরুল হুদা রুবেল এবং আসামিপক্ষে ছিলেন শিপ্রা রানী সাহা।
পিপি নূরুল হুদা জানান, উপজেলার ঠাকুরকান্দি গ্রাম থেকে বিয়ে করেন লিটন। এরপর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে। কিন্তু যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় লিটন স্ত্রীকে মারধর করতেন।
২০০৯ সালে মেয়েটির বাবার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু যৌতুক না পেয়ে ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন লিটন।
ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে স্বামী লিটন, শাশুড়ি রিজিয়া খাতুন ও শ্বশুর ছবির উদ্দিনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৪ অগাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এই তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অপর দুই আসামির সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পিপি নূরুল হুদা জানান, রায় ঘোষণার সময় লিটন পলাতক ছিলেন।