নীলফামারীতে শীতের রোগবালাই নিয়ে হাসপাতালে ভিড়

নীলফামারীর হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে মানুষের ভিড় বেড়েছে।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2020, 04:25 AM
Updated : 6 Jan 2020, 05:50 AM

গত এক সপ্তাহে নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও রোববার থেকে তা কমতে শুরু করে। 

সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জেলার ডিমলা উপজেলার অবস্থিত আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আনিছুর রহমান জানান।

রোববার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা।একই সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ বালাই।

নীলফামারী সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু সফি মাহমুদ জানান, শীতজনিত শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, রোববার হাসপাতালে হাসপাতালে ২২৮ জন রোগি ভর্তি রয়েছে; এর মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৬০ জন, মহিলা ওয়ার্ডে ৬৫, নবজাতক ৮, শিশু ৬৩ ও গাইনীতে ৩২ জন। এছাড়াও বহির্বিভাগে ৩৩০ জন রোগি চিকিৎসা নিয়েছেন।

হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিলীপ কুমার রায় বলেন, “প্রত্যেক বছরে শীতকালে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। এ সময় মায়েদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ঠাণ্ডা ও কুয়াশায় শিশুদের ঘরের বাইরে বের করা যাবে না। অবশ্যই গরম কাপড় পড়তে হবে।”

আবহাওয়া কর্মকর্তা আনিছুর বলেন, “তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। সোমবারের পর থেকে (৬ তারিখ) তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।এরপর দুই থেকে তিনদিন এ অবস্থা থাকতে পারে। তবে বৃষ্টির সম্ভবনা নেই।”

এদিকে জেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারিভাবে ৪২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা এস এ হায়াত জানান।