ফুলগাজী থানার ওসি মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন বলেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক সোহাগ (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তারা এই অভিযোগ পেয়েছেন।
সোহাগ উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের মনির আহমেদের ছেলে।
বছর তিনেক আগে সোহাগ এক স্কুলছাত্রীকে ‘যৌনহয়রানি করায়’ এলাকাবাসী তাকে পিটিয়েছিল বলে আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান হারুন এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর পরিবারের বরাতে বলেন, “সে সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে সোহাগ তার পথরোধ করে। তার মুখ চেপে ধরে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সোহাগ পালিয়ে যায়।
“সোহাগ প্রায় তিন বছর আগে এক স্কুলছাত্রীকে যৌনহয়রানি করেছিলেন। সে সময় এলাকাবাসী তাকে পিটিয়েছিল।”
ওই ছাত্রীকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আবু তাহের পাটোয়ারী বলেন, “প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ছাত্রীর মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওসি কুতুব বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। পুলিশ সোহাগকে আটকের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।