শনিবার সকাল থেকে জেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রেখে এ কর্মবিরতি পালন করছে তারা। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।
‘ভুল চিকিৎসা’য় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কুলশিক্ষিক নওশিন আহমেদ দিয়ার মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় শহরের মুন্সেফপাড়ার খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডা. ডিউক চৌধুরী ও তার হাসপাতালের অরুনেশ্বর পাল অভি এবং শাহাদাত হোসেন রাসেলকে পহেলা জানুয়ারি জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) দিনব্যাপী এ কর্মবিরতির ডাক দেয়।
বিএমএ’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবু সাঈদ বলেন, “চিকিৎসকরা জেলে গেলে তো নিরাপত্তহীনতার কারণে চিকিৎসা করতে পারবে না।
ডা. ডিউকে বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন,
“আমরা চাই চিকিৎসার বিষয়ে যদি কোনো সন্দেহ থাকে, ভুল আছে কি নাই সেটা এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে তদন্ত হোক। তারপর মামলা হোক।
‘ভুল চিকিৎসায়’ মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিহতের বাবা শিহাব আহমেদ গেন্দু গত ১৩ নভেম্বর মামলা করেন। ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন ওই তিন চিকিৎসক। জামিন শেষে ১৮ ডিসেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন তারা। আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. হাসানুল ইসলাম মামলাটির পহেলা জানুয়ারি শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। পহেলা জানুয়ারি শুনানি শেষে বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় বিএমএ ও বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিক সমিতির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে শনিবার দিনব্যাপী সব চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবারের কর্মসূচি পালনের পর আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতা।