ফরিদপুরে উড়িয়ে রঙিন ঘুড়ি খুলল স্মৃতির ঝাঁপি

শীতের মধ্যে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির বৈরি আবহাওয়া তবুও উৎসাহে ভাটা পড়েনি ঘুড়ি প্রেমিকদের মনে। ‘চলো হারাই শৈশবে’ প্রতিপাদ্যটি সামনে নিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবে মাতে হাজারো মানুষ।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2020, 05:04 AM
Updated : 4 Jan 2020, 05:04 AM

শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি উৎসবে মেতে ওঠেন ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় পদ্মা পাড় এলাকায়।

এ উৎসবের উদ্বোধক জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, এ জাতীয় আয়োজনকে আমাদের পৃষ্টপোষকতা দেওয়ার দরকার। যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে এ ধরনে উৎসবে বিকল্প নেই।

‘চলো হারাই শৈশবে’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ উৎসবে শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও রং-বেরঙের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন। জাতীয় পতাকা, মাছ, ঈগল, লেজযুক্ত ঘুড়ি এমন নানান ঘুড়ি আনন্দ দিয়েছে দর্শকদের।

ফরিদপুর শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থী ভিড় করে ঘুড়ির ওঠাউড়ি দেখতে।

ঘুড়ি উৎসবে আসা শিক্ষার্থী রেজাউল করিম বলেন, এটি এমন এক উৎসব যেখানে সব বয়সী মানুষ এক হয়েছে, একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
উৎসবে ঘুড়ি নিয়ে আসা সালমান বলেন, আয়োজকদের অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে যে, এক দিনের জন্য হলেও আমাদের ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছে।
ঘুড়ি উৎসবের আয়োজক ফরিদপুর সিটি পেইজ নামের ফেইসবুক ভিত্তিক একটি গ্রুপ। এর মডারেটর বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, গত তিন বছর ধরে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে এ গ্রুপ থেকে। এবার ছিল তৃতীয় ঘুড়ি উৎসব।
উৎসবের আয়োজকদের আরেকজন এসএম ইশতিয়াক বলেন, ‘আবহমান বাংলার হারিয়ে যাওয়া উৎসবগুলো পুনরায় জনপ্রিয় করে তোলার জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ।’

উৎসবে আকর্ষণীয় উপস্থাপন এবং ঘুড়ি ওড়ানোর দক্ষতার ভিত্তিতে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।

সূর্য ডুবে আঁধার নামলে ফানুস ওড়ানোর আর আতশবাজি পোড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় স্মৃতি জাগানিয়া এ উৎসব।