সদর থানার পরিদর্শক নূরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামির জবানবন্দি থেকে তারা এই তথ্য পেয়েছেন।
গত শুক্রবার জেলা শহরের গয়লা মধ্যপাড়া মহল্লায় নিজ বাড়িতে সুমনাকে (৪০) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। সুমনা ওই মহল্লার আমজাদ হোসেন খানের সন্তান।
পরিদর্শক নূরুল বলেন, এ ঘটনায় শোভন ও শাওন নামে দুই আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাবিবুর রহমানের আদালতে তারা এই জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দি দেওয়া দুইজনের মধ্যে শাওন তৃতীয় লিঙ্গের।
পরিদর্শক নূরুল বলেন, “শিমু খাতুন (২৬) নামে এক নারীকে সুমনা সুদে দুই লাখ টাকা দিয়েছিলেন। শিমু সুদ-আসল কোনো টাকাই ফেরত না দেওয়ায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। এই দ্বন্দ্বের জেরে সুমনাকে হত্যার জন্য শোভনকে ৪০ হাজার টাকা দেন শিমু।
“হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন শোভন ও শাওনসহ সাতজন। তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।”
পরিদর্শক নূরুল বলেন, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া অন্য পাঁচজন হলেন কোলগয়লা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে জেমস (১৯), নূর আমিনের ছেলে ইমন (২০), আক্তার হোসেনের ছেলে সাজু (২০), বাদশা মিয়ার ছেলে লিটন (৩০) ও একই গ্রামের শিফাত (২০) নামে একজন।
তাদের মধ্যে শিফাত পলাতক রয়েছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক নূরুল ইসলাম। এছাড়া শিমুকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শিমু একই এলাকার আবদুল আজিজের স্ত্রী।