শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার অবিলের বাজারে কিশোরগঞ্জ-রংপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে কিশোরগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল আজিজ জানান।
নিহতরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের নবাগঞ্জ ভাদুরদর্গা গ্রামের মোবারক আলীর দুই সন্তান জহুরুল ইসলাম (৭০) ও আনোয়ারা বেগম (৬৫)।
আহতদের মধ্যে ১২ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বারাতে এসআই বলেন, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জগামী একটি বাসের সঙ্গে জলঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
“এ সময় মাইক্রোবাসের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।পরে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
প্রত্যক্ষদর্শী কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডি ইউনিয়নের অবিলের বাজার এলাকার মো. আসাদুজ্জাম (৩৫) বলেন, “সকালে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল।এ সময় একটি বাস টার্ন নিতে গিয়ে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাক্রোবাসের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। ’
এরপর পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং নিহতদের লাশ কিশোরগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় বলে জানান বাদশা।
জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আলম বলেন, মাইক্রোবাসের যাত্রীরা বগুড়ার মোকামতলায় এক আত্মীয়ের দাফন কাজে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। পথে কিশোরগঞ্জে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাই-বোন নিহত হন।”
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের আরও ১১ সদস্য ও মাইক্রোবাসের চালক আহত হন বলে জানান তিনি।
এসআই বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর এবং দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রো ও বাসটি উদ্ধার করে আপাতত থানায় আনা হয়েছে।তবে দুর্ঘটনার পর থেকে বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়।