জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে আশুলিয়া থানার এসআই মো.একরামুল হক জানান।
মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসমা সিদ্দিকা “প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানান।
মেয়েটির মা বলেন, “আমার মেয়ে বাসার সামনে দাঁড়িয়েছিল। একটা লোক এসে পাশের বাসার আন্টির সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে মেয়ে ফেরত এসে তার দাদিকে বলে, একটা লোক আমাকে মেরে ফেললো।
“পরে সে তার দাদিকে ওই লোকটাকে দেখায়। কিন্তু তার দাদি তাকে ডাক দিতেই সে মুখ ঢেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।”
পরিবারের বরাতে এসআই একরামুল হক বলেন, ওই শিশু কিশোরগঞ্জে তার দাদার বাড়িতে থাকে। সেখানেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে সে।
মেয়েটির বাবা-মা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ভাড়া থাকেন। গত শনিবার কিশোরগঞ্জ থেকে তার দাদির সঙ্গে বাবা-মায়ের কাছে বেড়াতে আসে।
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান এসআই।