বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিারাসারস্থ বিজিএফসিএল’র প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, এর ফলে ‘কম্প্রেসার ব্যবহার করে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে।’
“বিজিএফসিএল’র কূপগুলো অনেক আগে থেকেই উৎপাদনে রয়েছে। এ কূপগুলোর উৎপাদন ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে আমরা কোথাও কোথাও কম্প্রেসার ব্যবহার করছি কিন্তু কম্প্রেসার ব্যবহারই যথেষ্ঠ নয়।
“কূপের উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় সেগুলো চিহ্নিত করার জন্য আজকের বৈঠকে পরামর্শ দিয়েছি।”
বিজিএফসিএল’র ৪৪টি কূপ থেকে গড়ে প্রতিদিন ৭৮৭ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। গ্যাসের পাশাপাশি কূপগুলো থেকে এক লাখ ৮৬ হাজার ৫৭৬ ব্যারেল কনডেনসেট পাওয়া গেছে।
গ্যাস ও কনডেনসেট বিক্রয়লব্ধ অর্থই বিজিএফসিএল’র রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিজিএফসিএল ২৩৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছে।
এ অর্থবছরে সরকরি খাতে ভ্যাট, লভ্যাংশ এবং আয়কর বাবদ এক হাজার ৭১৭ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাধারণ সভায় বিজিএফসিএল’র পরিচালক, শেয়ার হোল্ডার, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।