বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রাটার খান গোলাম কুদ্দুস জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনার পর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তালা খুলে দেয়। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উপাচার্যসহ অন্যান্যরা বেরিয়ে আসেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে - আবসন সংকট দূরীকরণ, বর্ধিত বেতন কমানো, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ও কোডিং পদ্ধতির ব্যবস্থাকরণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি অধ্যাদেশের সংস্কার তথা সাংস্কৃতিক অবরুদ্ধতা থেকে মুক্তি ও মুক্তচিন্তা বিকাশে অধ্যাদেশের ব্যবস্থাকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত যেসব দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে তার প্রতিকার করা।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত কয়েক বছরে বেতন ফি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। নতুন টার্ম রেজিস্ট্রেশনের আগেই বেতন-ফি সহনীয় মাত্রায় কমানোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে সহনীয় মাত্রায় আনা না হলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন না বলেও জানান তারা।
গত বুধবার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবিসহ সামগ্রিক বিষয় খতিয়ে দেখে সুপারিশ প্রদানে ডিনদের সমন্বয়ে নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে জরুরিভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।