এ বাজারের ক্রেতা শহরের চেলোপাড়া এলাকার মাধবী দাসহ বলেন, “১০ টাকা থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত এসব পুরাতন ও ভালো মানের কাপড় কিনছেন আমার মত অনেকেই।”
১০ টাকা সেখানে শিশুদের স্যোয়েটার মিলছে বলে জানান অন্য ক্রেতারা।
জলেশ্বরীতলার শারমিন সুলতানা জানান, শোরুমে নতুন যে শীতের লেডিস স্যোয়েটারের দাম তিন হাজার টাকা, সেটি পুরাতন মার্কেটে দাম মাত্র সাতশ’ টাকা। মানও অনেক ভালো।
“পার্থক্য এটা পুরাতন কাপড়ের দোকান থেকে কেনা কিন্তু কাপড় দেখে পুরাতন মনে হয় না।”
শীত শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রতিবছরের মতো এসব দোকানে সব শ্রেণির মানুষ কেনাকাটা করছে। সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এবার টানা কয়েকদিনের শীতে দোকানে ভিড় বেড়েছে অনেক গুণ। সোয়েটার, কোর্ট, জ্যাকেট থেকে শুরু করে সব ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে বগুড়ার রাস্তায় রাস্তায়।
বগুড়া রেল স্টেশনের পাশের দুইধারে, স্টেশন রোড, জিরোপয়েন্ট সাতমাথা, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, শেরপুর রোডে এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে এখন উপচেপড়া ভিড়। পুরাতন হলেও উচু মানের শীতবস্ত্রও সেখানে কম টাকায় মিলছে।
বিক্রমপুরের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, এসব শীতের কাপড় অত পুরাতন নয়। বিদেশীরা এক বছর ব্যবহার করে তা পরের বছর বিক্রি করে দেয়।
তিনি আরো জানান, পাইকারী ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই ঢাকার বিক্রমপুরের। প্রথমে পুরাতন এসব কাপড় সৈয়দপুর থেকে রংপুরে ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটলেও এখন বগুড়া পুরাতন কাপড়ের বড় বাজার।
বিক্রমপুরের আরেক ব্যবসায়ী স্টেশন রোডের ছিদ্দিক ব্যাপারী জানান, কোরিয়া, তাইওয়ান ও জাপান থেকে এসব শীতবস্ত্র আমদানি করা হয়।
“আমরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিনে এনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। এসব শীতবস্ত্র না আসলে গরিব মানুষদের অনেক কষ্টভোগ করতে হতো।
আরেক পাইকারী ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী জানান, চট্টগ্রাম থেকে এক গাট্টি স্যোয়েটার ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা দরে, জ্যাকেট ৭ থেকে ২০ হাজার টাকা দরে, লেদার জ্যাকেট ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা দরে এবং কোট ৭ থেকে ১৪ হাজার টাকা দরে কেনেন তারা।