পহেলা জানুয়ারি বুধবার বেলা ১২টায় শহরের শহীদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেখানে সমাবেত হন।
আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, এএসআই আশরাফুল ইসলাম, কন্সটেবল পারভেজসহ পাঁচজন বলে দাবি পুলিশের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, শহীদ মিনারে জুতা স্যান্ডেল পায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্র্মীরা উঠে স্লোগান দিচ্ছিল। নিষেধ করলে পুলিশের উপর হামলা করে তারা।
“এতে আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। আহত পুলিশ সদস্য পারভেজ বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পহেলা জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ খোকন পার্ক ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হন। তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উঠে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় অতিরিক্ত এসপি শহীদ মিনার থেকে নেমে যেতে বললে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এদিকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের সমাবেশের মঞ্চ ছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে তারা অবস্থান করছিলেন।
‘নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছিল’ স্বীকার করে তিনি বলেন, “কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। আমরা পুলিশের উপর হামলাও করিনি।”
এ ঘটনার পর বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।
এ ঘটনায় এসআই জিল্লালুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।