হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহফুজার রহমান বলেন, “২০০ শয্যার এই হাসপাতালে জুনিয়র ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট মিলে চিকিৎসকের ২১টি পদ রয়েছে। কিন্তু এখন আছেন মাত্র পাঁচজন। এই পাঁচজনকেই প্রতিদিন প্রায় ১২০০ রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।”
ফলে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। তাদের যেতে হচ্ছে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের উত্তর ধানঘড়া গ্রামের ছকু মিয়া বলেন, গত ১০ নভেম্বর তার মায়ের গলায় হাড় আটকে গেলে এই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু এ বিষয়ের চিকিৎসক না থাকায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হয়।
গাইবান্ধা পৌরসভার সুখনগর এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী অভিযোগ করেন, নভেম্বরে তার স্ত্রীর কানে সমস্যা দেখা দিলে তাকে রংপুরে যেতে হয়। এতে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যয় তো হয়েছেই।
সন্ধানী ডোনার ক্লাবের উপদেষ্টা নাহিদ হাসান চৌধুরী রিয়াদ বলেন, “রোগীদের এখন বেশি টাকা ব্যয় করে বেসরকারি হাসপাতালে অথবরা রংপুর বা বগুড়া যেতে হচ্ছে। এতে গরিব মানুষ চরম ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছে।”
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক মাহফুজার রহমান বলেন, সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।