সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, মঙ্গলবার বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১৮ ও ১৯ নম্বর পিয়ারের ওপর ‘৩এফ’ নম্বরের ২০তম স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়।
এর আগে বেলা ১ টায় স্প্যানটি বসানো হলেও ফিটিং শেষ হয় ১টা ৩৫ মিনিটে।
সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, “এখন থেকে প্রতি মাসে তিনটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই শিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে।
“সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসে পৌঁছেছে ৩৩টি। আরও দুটি চীন থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা হয়েছে। ছয়টি তৈরির কাজ চীনে চলমান আছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সব স্প্যান দেশে চলে আসবে।”
সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩৬টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাকি ছয়টির কাজ আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দোতালা সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে
প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিয়ারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে হবে এই সেতু।
২০১৫ সালের ডিসেম্বর সেতুর মূল কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মাণের লক্ষ্য থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। সরকার এখন ২০২১ সালের জুন মাস নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করছে।