রংপুর হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান এম এ হামিদ পলাশ জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রোকেয়া বেগম নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
রোকেয়ার বাড়ি রংপুর মহানগরীর পশারীপাড়া এলাকায়।
পলাশ বলেন, “গত শনিবার আগুন পোহাতে গিয়ে রোকেয়া দগ্ধ হন। তার শরীরের অর্ধেকেরও বেশি অংশ পুড়ে গিয়েছিল।”
এছাড়া গত ১১ দিনে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মোট ২৬ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি হয়। যার মধ্যে এক শিশু ও চার নারী মারা গেছে বলে এ চিকিৎসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন,“শীতের তীব্রতায় উষ্ণতা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে অসতর্কতায় দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটছে।”
আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে বর্তমানে আরও ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার ফাতেমা বেগম (৭০) দগ্ধ হয়ে রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আগুনে দগ্ধ হয়ে রোজিনা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয় ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে।
এর আগে ২৬ ডিসেম্বর সাদিয়া নামে এক শিশু ও আলম মিয়া নামে ব্যক্তি মারা যান। এদের একজনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ ও আরেকজনের একই জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায়।