বুনন মূল্য বৃদ্ধির দাবি নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের

উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও পোশাক কারখানার মালিকরা কাপড় বুননের দাম বৃদ্ধি না করায় ক্ষুব্ধ নিট শিল্পের মালিকরা।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2019, 11:36 AM
Updated : 30 Dec 2019, 11:36 AM

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে বুনন শিল্পের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের (বিকেওএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় পোশাকশিল্পের মালিকরা বুননের দাম বৃদ্ধি না করলে আন্দোলনে নামার হুমকি দেন তারা।

বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের হিসেবে দেশের এক হাজারের বেশি নিটিং কারখানায় প্রতিদিন ৩০ লাখ কেজি কাপড় উৎপাদন হয়। তাদের বোনা কাপড় ব্যবহার করছে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো।

নিজের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে প্রাইড টেক্সটাইল লিমিটেডের চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার বলেন, “পোশাক কারখানার মালিকেরা নিটিং মালিকদের মুল্যায়ন করেন না। তারা ডাইং কারখানায় অগ্রিম টাকা দিয়ে কাজ করান কিন্তু নিটিং কারখানার মালিকদের কাজ শেষেও তারা টাকা পরিশোধ করেন না।

“নানাভাবে চাপ সৃষ্টি এবং কাজ না দেওয়ার হুমকি দিয়ে সংগঠনের নির্ধারিত মূল্যের তালিকার কম দামে কাজ করান।”

চেঙ্গীস নিটওয়্যার লিমিটেডের এমডি ইব্রাহিম চেঙ্গীস বলেন, “আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রয়োজন আমরা সবাই মিলে মুল্য বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটে যাব।”

২০১২ সালে বুনন মূল্য বাড়ানোর দাবিতে আধাবেলা ধর্মঘটের পর সামান্য মূল্য বৃদ্ধি হয়েছিল বলে জানান সাবেক সভাপতি আবু তাহের শামীম।

উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা তুলে এ সংগঠনের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান জানান, আগে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হতো পাঁচ থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা, এখন শ্রমিকদের মজুরি দিতে হয় ১১ থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা।

শ্রমিকদের মজুরি, বিদ্যুৎ বিল, কারখানা ভাড়াসহ সব জিনিসের খরচ বাড়লেও তাদের উপার্জন বাড়েনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

অনেক কারখানায় মেশিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের প্রাপ্যটা আদায় করতে হবে।”

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দুই প্রধান খাত হিসেবে রেমিটেন্স এবং গার্মেন্টস শিল্পর কথা উল্লেখ করে এ সংগঠনের সভাপতি সেলিম সারোয়ার বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের উন্নতিতে আমাদের নিটিং শিল্পের প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে।

গত কয়েক বছরে দেশের বেশ কয়েকটি বড় নিটিং কারখানা বন্ধ হওয়ার কথা তুলে তিনি বলেন, “সময় এখন আমাদের রুখে দাঁড়াবার। এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আমাদের এ খাত মুখ থুবড়ে পড়বে।”

এ বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য ৫০ লাখ ২৯ হাজার ৯২৫ টাকার খসড়া বাজেট ঘোষণা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অর্থ মাহবুব উল আনোয়ার।