রোববার তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল আলম ২২ জনের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন; যা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ২২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক আরও দুইজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, শিকারিদের আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিরল প্রজাতির খরগোশ উদ্ধার করা হয়েছে। খরগোশ দুটি বর্তমানে অসুস্থ। সুস্থ করে তুলে সেগুলো স্থানীয় কোনো বনে ছেড়ে দেওয়া হবে।
“এ প্রজাতির খরগোশ বাংলাদেশের কোথাও সাধারণত দেখা যায় না। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সীমান্ত এলাকা ও ভারতীয় চা বাগান থাকায় তেঁতুলিয়াতেই এসব প্রাণী বেশি চোখে পড়ে। তাই এসব বিরল প্রাণী শিকারে লোকজন দল বেঁধে এদিকে আসে।”
বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রোববার দুপুরে রংপুরের তপন কুমার সরকারসহ ওই শিকারি দলটি বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ডাহুক ব্রিজ সংলগ্ন চা বাগান থেকে দুটি খরগোশ ধরে। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি বনবিভাগকে জানানোর পর পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।