গাইবান্ধায় এমপি ইউনুস আলীর দাফন সম্পন্ন

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস আলী সরকারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে জন্মস্থানে। 

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2019, 12:42 PM
Updated : 29 Dec 2019, 12:42 PM

রোববার বাদ আসর সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শেষ জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শুক্রবার সকাল ৯টায় ৬৬ বছর বয়সী ইউনুস আলী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান। সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউনুস আলী ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সেখানে।

জানাজায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলার সাত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নবী নেওয়াজ, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেন।

জানাজায় ইমামতি করেন স্থানীয় পাকুরিয়া ঈদগাহ মাঠের খতিব মওলানা নুরুল আলম কাসেমী। 

এর অগে রোববার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুম ইউনুস আলীর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল শামিম-উজ-জামান।

পরে তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দলীয় নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান হুইপ নূল-ই-আলম চৌধুরী হুইপ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এরপর আকাশ পথে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আনার পর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা হয়।

চিকিৎসক থেকে রাজনীতিতে আসা ডা. ইউনুস আলী সরকার ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও এ আসন থেকে নির্বাচিত হন।

ইউনুস আলী রংপুর মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নকালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন। তিনি মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। এছাড়া ডাক্তারদের সংগঠন বিএমএ-এর বিভিন্ন পদে একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি গত ১৬ বছর ধরে সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।