বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল আজিজ জানান, শনিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তিনি যান।
নিহত আলমগীর হোসেন (৩৩) জেলার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর আকন্দপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। আলমগীর ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
আলমগীরের বড় ভাই শাহীনুর রহমান বলেন, “কিছুদনি আগে চাচাত ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলকার নাইমের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
“আমরা ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করছি। বিকালে নাইম মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাবা লুৎফর রহমান, ছোট ভাই আলমগীর ও লিমনকে লাঠিপেটা করে। তারপর আলমগীরের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে বীরদর্পে চলে যায়।”
আহতদের তারা তাৎক্ষণিকভাবে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান।
শাহীনুর বলেন, আলমগীর ঢাকায় চাকরি করেন। কয়েক দিন আগে বাড়িতে এসেছিল।
এসআই আজিজ বলেন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর আলমগীর মারা যান। আহত অন্য দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা জুলকার নাইমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন করে বন্ধ পাওয়া গেছে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দীন বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।