নিহত সিদ্দিক আহমদ (৮৫) উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনি মারমা বলেন, “মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে চার-পাঁচটি হাতি এলাকায় আসে। হাতিগুলো একটি ঘর ভেঙে ফেললে মাটির দেয়াল ধসে যায়। মাটিচাপায় ঘুমস্ত সিদ্দিক ঘটনাস্থলেই মারা যান।
“হাতিগুলো ওই এলাকায় ধান খেতে এসেছিলে। পরে এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে ফিরে যায়। এখন পাকা ধানের মৌসুম। এই ধান খাওয়ার লোভে ক্ষুধার্ত হাতিগুলো লোকালয়ে নেমে আসে। তখন নিরীহ মানুষ তাঁদের আক্রমণের শিকার হয়।”
বুনো হাতির আক্রমণের আশঙ্কায় ওই এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন বলে তিনি জানান।
গত শুক্রবার ওই ইউনিয়নের চাকঢালা এলাকায় হাতির আক্রমণে মনির আহম্মদ নামে এক কৃষক মারা যান। তার পরদিন শনিবার রাতে দোছড়ি ইউনিয়নে শাহিনা আক্তার (৫৫) নামে এক নারীকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছড়ে মারে একদল হাতি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, হাতির আক্রমণে নিহত তিনজনের লাশই পুলিশ উদ্ধার করেছিল। স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত না করে পরিবারের কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দিন দিন হাতির আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। এছাড়া বনে খাদ্যসংকটের কারণে হাতি লোকালয়ে চলে আসে। আর এ সময় পাকা ধান খাওয়ার লোভে ধানক্ষেতে নেমে যায় হাতির পাল। এ কারণে মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।