যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মাথার চুল কেটে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা

নোয়াখালীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মাথার চুল কেটে গরম খুন্তি দিয়ে সারা শরীর ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2019, 07:28 PM
Updated : 23 Dec 2019, 07:42 PM

এরপর চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ওই নারীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয় বলেও ওই নারী অভিযোগ করেছেন।

কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সোমবার সন্ধ্যায় ওই নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসক নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “তারা পুরো শরীরে গরম লোহা দিয়ে ঝলসে দেওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।”

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়নের ওই নারীর সঙ্গে ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মোশাররফ হোসেন উজ্জ্বলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলেও হয়, যার বয়স এখন ৫ বছর।

মোশাররফ হোসেন উজ্জ্বল

২৭ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ ও তার স্বজনরা হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে আসছিল উজ্জ্বল। বিদেশ যাওয়ার জন্য কয়েকবার তাকে টাকাও দেওয়া হয়।

দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে ফিরে উজ্জ্বল আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করেন বলে জানান স্বজনরা।

তারা বলেন, গত বুধবার রাতে জেলা শহরের বছিরার দোকান এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দিয়ে গরম খুন্তি দিয়ে সারা শরীর ঝলসে দেন উজ্জ্বল। এক পর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে বাপের বাড়িতে উঠেন ওই নারী।

সেখান থেকে শুক্রবার ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও সেখানেও উজ্জ্বল চালান বলে স্বজনদের অভিযোগ।

তারা বলেন, সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার সময় আবারও ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান উজ্জ্বল। তখন স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রাতেই ওই নারীকে দেখতে যান নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহীম ।

তারা সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।