কলারোয়া থানার ওসি মুনীর উল গিয়াস জানান, রোববার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বাবা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে রাতেই তাদের থানার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন উপজেলার যুগিবাড়ি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে শুভ হোসেন (২২) ও ঝিকরা গ্রামের আমানুল্লাহ আমানের ছেলে অভি (২৪)।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার গদখালি গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে গালিব (৩৫) ও কলারোয়া পৌরশহরের আলতাফ হোসেনের ছেলে আল আমিন (১৯)।
ওসি গিয়াস মামলার নথির বরাতে বলেন, “শুক্রবার তার মেয়ে কেনাকাটার জন্য কলারোয়া বাজারে যাওয়ার পথে গালিব ও আমিন তাকে জোর করে ওষুধ মেশানো পানি গিলিয়ে দেয়। এরপর থেকে তার শরীর ঝিমঝিম করতে থাকে।
“বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর তার বমি বমি ভাব হয়। সে তখন পান খাওয়ার জন্য স্থানীয় দোকানে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে শুভ ও অভি তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে তেলকাড়ার বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে শুভ তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে তাকে খুন করতে গেলে অভি বাধা দেয়। তারা তাকে মাহমুদপুর মান্দারতলা সেতুর সামনে বাগানে ফেলে যায়।”
খবর পেয়ে তার মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলার অন্য দুই আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি গিয়াস।