রোববার দুপুরে আনন্দবাস গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয় বলে মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাসেম জানিয়েছেন।
এরা বেশ কয়েকবছর ধরে ভারতে বসবাস করে আসছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করছে না।
সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) করার পর ওই তালিকার বাইরে থাকা মানুষদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ ভারত নেবে না বলে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে।
আটকরা হলেন মাদারীপুরের মৃত সালাম ব্যাপারির ছেলে রবিউল ব্যাপারি (২০), রিটন হালদারের ছেলে সাকিল হালদার (২০), রহিম মুন্সির ছেলে সিরাজুর মুন্সি (২০), যশোরের মালেক সরদারের ছেলে আজিজুল সরদার (২৩), পান্নুর ছেলে সুমন (২০), শ্রীজয় কুমার দাশের ছেলে শিমুল কুমার দাস (৩০), সাতক্ষীরার মৃত শাহাদত সরদারের ছেলে রিপন সরদার (২০) ও পিরোজপুরের রতন মোল্লার ছেলে মানিক মোল্লা (২১)।
মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাসেম আটকদের বরাতে জানান, শনিবার রাতের কোনো এক সময় ভারতের পাথরঘাটা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে এই আট যুবককে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।
“পরে তারা সেখান থেকে হেঁটে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামে চলে আসেন। স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সাংবাদিকরা তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা কেউ ১৫ বছর, কেউ আট বছর ধরে ভারতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন বলে জানান।
তবে এসব বিষয়ে পুলিশ কোনো মন্তব্য করেনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে তাদের বেশি কথা বলতেও দেয়নি।
এদের কি ফের ভারত পাঠানো হবে, নাকি এখানে তাদের অভিভাবকদের দেওয়া হবে জিজ্ঞেস করা হলে ওসি হাসেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর যা করার করা হবে।