পাংআন ঘিসিংসি কষ্টমানতো: গারো পাহাড়ের এক বৃদ্ধা

কনকনে শীতের রাতে সরকারি ত্রাণের কম্বল পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় শেরপুরের পাহাড়ি গ্রামের এক গারো বৃদ্ধা বলেন “পাংআন ঘিসিংসি কষ্টমানতো। গনচে কম্বল মানকে চালিজা সারাংতাৎহা খেংখে টং মান্নাকা।”

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2019, 09:59 AM
Updated : 22 Dec 2019, 09:59 AM

শনিবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পাহাড়ি রাংটিয়া গ্রামের ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা কোচআলাই তার ভাষায় বলা কথাটির বাংলা অর্থ-প্রচণ্ড শীতে খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। এখন একটা কম্বল পেয়ে শীতের কষ্ট থেকে বাঁচতে পারব।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পযর্ন্ত গারো পাহাড় সংলগ্ন রাংটিয়ায় কোচ, হাজং, কান্দুলী আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রতাবনগর গ্রামের দেড় শতাধিক দরিদ্র মানুষকে সরকারি ত্রাণের কম্বল দেন ইউএনও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, “শীতার্ত মানুষকে খুঁজে পেতে রাতের কোনো বিকল্প নেই, তাই রাতেই কম্বল বিতরণের কাজ করার চেষ্টা করছি।”

পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় এ উপজেলায় শীত অনেক বেশি জেকে বসে বলেও মনে করছেন তিনি।

এ সময় ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঝিনাইগাতী শাখার সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী, কোচ নেতা শিক্ষক যুগল কিশোর কোচ, শেরপুর ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক মনির উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শতাধিক শীতার্তকে কম্বল দেন ইউএনও।