গত তিনদিন ধরে কুয়াশার দাপটে জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতের তীব্রতা কারণে নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিকদের কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
বিরল উপজেলার মাঝাডাঙ্গা গ্রামে আলু ক্ষেতে কর্মরত কৃষি শ্রমিক সুশান্ত সরকার বলেন, শীতের সকালে মাঠে কাজ করতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরেক শ্রমিক বিজন সরকার বলেন, “ঠান্ডায় হাত-পা যেন অবোস হয়ে যাচ্ছে।”
গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর থেকে তা কমে ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করে।
দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। তাপমাত্রাও কমেছে। গত তিন দিন ধরে মৃদু শৈত্য প্রবাহ শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সন্ধ্যার পর থেকে দিনের বেশীরভাগ সময়ই থাকছে কুয়াশার দাপট। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
ডটকমকে বলেন, “শিশুরা ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে ও এটি এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে ;এতে উদ্বেগের কিছু নেই। ”
তবে শিশুদের সুস্থ্য রাখতে ঠান্ডায় ঘরের বাইরে বের না করারই পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক। সেইসঙে শিশুদের মায়েদেরও ঠান্ডা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এদিকে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় এক লাখ ২০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।