শীতে ‘কামাই না থাকিয়া হামার মরণ হইছে বাহে’

কনকনে শীতে কাজের অভাবে কষ্টে পড়েছেন নীলফামারীর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ।

বিজয় চক্রবর্তী কাজল নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2019, 03:22 PM
Updated : 21 Dec 2019, 03:22 PM

সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের সুটিপাড়া গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী আহমেদুল হক এমনই একজন।

কৃষি শ্রমিক আহমেদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাত-পায়ে কনকনে ঠাণ্ডা লাগেছে। এমন ঠাণ্ডাত জমিত কাজ করা যাছে না। ঠাণ্ডাত কাজ কম হওয়ার ভয়ে জমির মালিকেরাও কাজ করাছে না। কামাই না থাকিয়া হামার মরণ হইছে বাহে।”

কাজ না থাকায় ঠাণ্ডার কষ্টের পাশাপাশি তার পরিবারে খাদ্যকষ্ট চলছে বলে তিনি জানান।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হিমশীতল বাতাস আর হালকা কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক জনজীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শনিবারও কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল আকাশ। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাও যান চলাচল করেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

জেলার ডিমলা উপজেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, শনিবার এ উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বচ্চ তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়া কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, শনিবার সৈয়দপুর উপজেলায় সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছি ডিমলা উপজেলায়, ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি আর সৈয়দপুর উপজেলায় ছিল সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি।