শনিবার সকালে বান্দরবানে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
সম্প্রতি ঢাকায় ও চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে আত্মপ্রকাশ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। এরপর থেকে তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন এর নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনের সময় এক সভায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক পরিষদের নেতা কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনে বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব নেই। কমিশনের কিছু ধারা বিতর্কিত ও অসাংবিধানিক।
“কমিশন কার্যকর হলে ভূমি অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে বাঙালিরা।”
ক্যাপ্টেন তারু মিঞার সভাপতিত্বে এ সভায় ছাড়াও কাজী নাছিরুল আলম ও মাওলানা আবুল কালাম বক্তৃতা করেন।
১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়াম লীগ সরকার ও পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি হয়-যা শান্তি চুক্তি নামে পরিচতি। এ চুক্তির আলোকে ২০০১ সালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন’ গঠন করা হয়।
আগামী সোমবার রাঙ্গামাটিতে এ কমিশনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেও কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে তবে পাহাড়ি ভূমি নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।