শীতে জবুথবু রংপুরের জনজীবন

তীব্র শীতে রংপুরের জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2019, 08:57 AM
Updated : 21 Dec 2019, 01:41 PM

দিনের বেলা বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। চাদর মুড়িয়েও বাইরে বের হওয়া মুশকিল।

শুক্রবার ভোরে রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান।

তিনি বলেন,“ গত দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি; তাপমাত্রাও ওঠা-নামা করছে। দিনভর কনকনে ঠান্ডার পর বিকালেও কুয়াশা কমে না। আর সন্ধ্যার পর তো কথাই নেই। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমবে।”

পৌষের শুরুতে হিমালয়ের কোলঘেঁষা উত্তর জনপদের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে ছিন্নমূল আর ভাসমান মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়ের পান দোকান দার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সকাল বেলা ঠাণ্ডার কারণে দোকানেই আসতে পারি না, আবার ঠাণ্ডার কারণে সন্ধ্যার পর দোকানে বসে থাকা যায় না।

“আমরা গরীব মানুষ। অভাবের তারনায় দোকোনে ছুটে আসলেও বিকাল হতে না হতে কাস্টমার শুন্য হয়ে যায়। আবার এনজিওর কিস্তি আছে। কী করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।”

আলমনগর এলাকার আজিমা বেগম বলেন, “এই শীতে আর জীবন বাঁচে না। এখন পর্যন্ত একখানা গরম কম্বল পাই নাই।”

এই এলাকার আরজিনা বেগম ও শহিদা বেগম জানান, গরম কাপড় কেনার সাধ্য তাদের নেই।

রেল স্টেশন এলাকার অলিমা বেওয়া বলেন, “হামরা গরীব মানুষ। গরম কাপড় কেনার হামার সাধ্য নাই। সরকারও হামার দিকে দ্যাখে না। আপনারা যদি পান তাহলে হামাক একখান করে গরম কম্বল দেন।”

নুরপুর এলাকার আছিয়া বেগম ও বুলু মিঞাও  একই আকুতি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরের জেলা প্রশাসক আহসান হাবিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ২০ হাজার কম্বলও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এখনও অনেক মজুদ আছে, কোনো সমস্যা হবেনা।