শিশুটিকে হত্যা করার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকা থেকে সুমনা আক্তারের লাশটি উদ্ধার হয় বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান।
নিহত সুমনা (৯) শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েল হোসেনের মেয়ে এবং সে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
তাকে হত্যার অভিযোগে আটক কিশোর ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
সুমনা গত রোববার বিকালে প্রতিবেশী ওই কিশোরের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে সোমবার শিশুটির বাবা জুয়েল হোসেন ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
ওসি আশিকুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুমনা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা তৎপর ছিলাম তাকে উদ্ধারের জন্য। ওই প্রতিবেশীর বাড়িটিকে নজরদারিতে রাখা হয়। ওই বাড়িতে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
“জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সুমনাকে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাথরুমের ভেতরে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে।”
এরপর বাথরুমের মাটি খুড়ে ওই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কী কারণে সুমনাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান ওসি আশিকুর।
শিশুটির বাবা জুয়েল হোসেন বলেন, “আমার মেয়ে সুমনাকে নির্মমভাবে হত্যা করে বাথরুমের মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।”