আটক রাকিব খান (২৭) জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুর ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।
এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক শেলু আকন্দকে (৫৫) জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জামালপুর শহর থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।
ঘটনার বর্ণনায় শেলু আকন্দ বলেন, “বুধবার রাত ১০টার দিকে শহরের দেওয়ানপাড়া সদর ভূমি অফিসের পেছনের রাস্তায় আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।”
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ছাড়াও শহরের দেওয়ানপাড়ার রসুল মাহমুদ খানের ছেলে তুষার খান ও তুহিন খান ও সুনু খানের ছেলে স্বজন খান জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
“ওই হামলা মামলার সাক্ষী হওয়ায় আমার উপর এ হামলা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “হামলাকারীরা সবাই সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর উপর হামলা মামলার আসামি। তাদের মধ্যে রাকিব, তুষার, তুহিন ও স্বজন মোস্তফা মঞ্জুর মামলায় কয়েকদিন কারাগারে ছিল।
“হামলার সময় তারা আমাকে বার বার বলেছে- এখন সাক্ষী দিতে যাবি না।”
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গাজী মো. রফিকুল হক বলেন, “শেলুর দুই পায়ের হাড় ভেঙ্গে ও ফেটে গেছে। বৃহস্পতিবার তার শারীরিক পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এর আগে সাংবাদিক মঞ্জুর উপর হামলার ঘটনায় জামালপুরের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়। হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে জামালপুর প্রেসক্লাবসহ সারা জেলায় কমর্রত সাংবাদিকরা ধারাবাহিক আন্দোলন প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন।
ওই ঘটনায় জেলার ৪৮ জন সাংবাদিক সদর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন।
শেলুর হামলাকারীদের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান বলেন, পুলিশ রাতেই রাকিব খানকে আটক করেছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।