ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নারী কক্সবাজার ছেড়ে গেছেন।
জেলার রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, খুনিয়াপালং ইউনিয়নে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখাল সংলগ্ন মারমেইড ইকো বিচ রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে বলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন।
ওসি প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলেন, রোববার দুপুরে ওই রিসোর্টে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ান এক নারী পর্যটক। তাকে রেজু খালের মোহনা লাগোয়া একটি কক্ষ দেওয়া হয়। সোমবার রাতে তিনি দরজা বন্ধ করলেও জানালার পাল্লা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন।
“রাতে দুইজন জানালার খড়খড়ি ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। নারী চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। তবে তারা তার গায় আঁচড় দিয়েছে।”
তাৎক্ষণিকভাবে এই নারী ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ান হাই-কমিশনার কার্যালয়কে অবহিত করেন বলে জানান ওসি খায়ের।
তিনি বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাই-কমিশনার কার্যালয়ের নির্দেশনামতে পুলিশ তাকে কক্সবাজারের একটি হোটেলে রাখে।
“সোমবার দুপুরে তিনি কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। হাই-কমিশনার কার্যালয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ঘটনার খোঁজখবর নিচ্ছে।”
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ হোটেলটির মালিক আনিসুল হক সোহাগের ভাই শামিমুল হক স্যামসহ পাঁচজনকে আটক করে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ঘটনা বিস্তারিত তদন্ত করছে বলে তিনি জানান।