মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন ফুল তুলে নিতে নির্দেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
মুজিবনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শফি উদ্দিন বলেন, সকালে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হলে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পরে ওসি ফুল দেন।
“এরপর কাউকে লাইনে দেখতে না পেয়ে আমার নেতৃত্বে মুজিবনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ছুটে এসে জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের আগে ফুল দেওয়ার সাহস তোদের কে দিয়েছে? উঠিয়ে নে ফুল। ফুল দেওয়ার এত ইচ্ছা থাকলে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ফুল দিতে আয়।”
শফি বলেন, “সাংবাদিকরা তাদের দেওয়া ফুল স্মৃতিসৌধের বেদি থেকে তুলে নিতে বাধ্য হন। শত শত মানুষের সামনে আওয়ামী লীগ নেতার এমন আচরণ আমাদের লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।”
এ বিষয়ে জিয়াউদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কোন সাহসে সাংবাদিকরা উপজেলা চেয়ারম্যানের আগে ফুল দেয় আমি এটা জানতে চেয়েছি। আমি বলেছি, আগে উপজেলা চেয়ারম্যান ফুল দেবে। তারপর অন্যরা। তাই সাংবাদিকদের দেওয়া ফুল আমি স্মৃতিসৌধ বেদি থেকে তুলে নিতে নির্দেশ দিই।”
এর প্রতিবাদে মুজিবনগরের সাংবাদিকরা বিজয় দিবসের সংবাদ বর্জন করে স্মৃতিসৌধ চত্বরে বসে প্রতিবাদ জানান।