মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক ইউনুস আলী নিজেও সে কথা স্বীকার করেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রী না আসায় পতাকা ওঠানো এবং সেখানে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি।”
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে গেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে।
সোমবার বেলা ১০টার দিকে সেখানে ঘণ্টা খানেক অবস্থান করে কোনো অনুষ্ঠানের উদ্যোগ দেখা যায়নি। পরে খোঁজখবর নিতে গেলে এলাকাবাসী জানান, মাদ্রাসাটিতে বিজয় দিবস বা অন্য কোনো জাতীয় দিবসে কোনো অনুষ্ঠান হয় না।
মাদ্রাসার পাশের গোসাইবাড়ী বাজারের চা দোকানি মতিউর রহমান প্রায় ১৫ বছর ধরে ওই মাদ্রাসার কথা শুনলেও সেখানে কোনো দিন কোনো ছাত্রছাত্রী দেখেননি বলে জানান।
তিনি বলেন, “বিজয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠান তো হয়ই নি, এমনকি পতাকাও তোলা হয়নি।”
বাজারের আরেক দোকানি ফটিক মিয়া বলেন, “সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সেখানে কী করছে তা আমার জানা নেই। ছাত্রছাত্রী দেখি না। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারিতে পতাকাও তোলা হয় না, কোনো অনুষ্ঠানও হয় না। কোনো শিক্ষকও সেখানে আসে না।”
তবে অধ্যক্ষ ইউনুস আলী দাবি করেন, তাদের নয়জন শিক্ষার্থী এ বছর এবতেদায়ী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, “জাতীয় দিবসে পতাকা না ওঠানো এবং অনুষ্ঠান না করা একটা অপরাধ। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”