এই বীরাঙ্গনাদের বাড়ি রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছোট যমুনা নদীর তীরে আতাইকুলা গ্রামের পালপাড়ায়।
সোমবার দুপুরে রাণীনগর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “১০ বীরাঙ্গনার মধ্যে চারজন মারা গেছেন। বেঁচে আছেন ছয়জন। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেটে ১০ বীরাঙ্গনার নাম প্রকাশ করে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদের ভাতা, ক্রেস্ট ও স্মাট কার্ড দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।”
অনুষ্ঠানে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের পক্ষে বীরাঙ্গনাদের একটি করে ছাগল দেন তার স্ত্রী সুলতানা পারভীন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমাইল হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল অনুষ্ঠানে ছিলেন।
ইসমাইল হোসেন বলেন, “একাত্তরের ২৫ এপ্রিল হানদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার ও আলবদরদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্যাতন চালায় পালপাড়ার হিন্দুদের ওপর।
“গণহত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ জঘন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা। ওই দিন তারা গ্রামের সুরেস্বর পালের বাড়ির বারান্দায় ব্রাশ ফায়ার করে ৫২ জনকে হত্যা করে।”