ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভাংচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে হামলা ও ভাংচুর করেছে একদল লোক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2019, 09:25 AM
Updated : 16 Dec 2019, 01:04 PM

সোমবার সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ ভবন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই খালি প্যান্ডেলে ঘটনা ঘটায় কেউ হতাহত হননি।

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ১১টায়।

তার আগে সকাল ৯টার দিকে একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে মঞ্চ এবং বসার চেয়ার ভাংচুর করে।

তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলে।

সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায়, হামলাকারীদের মুখ ছিল কাপড়ে ঢাকা।

হামলার ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ করেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা। পরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী নোয়াব আসলাম হাবীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান আবার শুরু হয়।

অনুষ্ঠান শেষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ১৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে একটি করে চাদর, একটি ব্যাগ এবং সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল আলম এ হামলার জন্য তার দলের এক ‘প্রভাবশালী নেতাকে’ দায়ী করলেও নাম বলেননি। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি আজ ভুলুণ্ঠিত। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা চিহ্নিত। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগকে নষ্ট করার জন্য লেগে আছে।

“যারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলে, তারা প্রকৃত রাজাকার। আমরা এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেব।

“আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি এ হামলার বিচার না করা হয়, তাহলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যারা জীবিত আছি তারা প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত আছি।”

হামলার ঘটনা তদন্ত করে তারা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুণ অর রশীদ প্রমুখ।