এ পাঁচটি বানর ছাড়া বাংলাদেশে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের ছোট জাতের ‘কমন মার্মোসেট’ বা ‘পিগমি মাঙ্কি’ নামে পরিচিত এ জাতের আর কোনো বানর নাই বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে পার্কে পূর্ণবয়ষ্ক একটি মাদি এবং দুইটি পুরুষসহ মার্মোসেট বানরের সদস্য সংখ্যা পাঁচটিতে উন্নীত হয়েছে জানালেন তারা।
২০১৮ সালের ৬ অগাস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে পাঁচারকালে শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ অন্যান্য পাখি ও প্রাণির সঙ্গে এ মার্মোসেট বানরও জব্দ করে। পরে তা সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকেই এদের পার্কের বিশেষ বেষ্টিনীতে কোয়ারিন্টাইন-এ আবদ্ধ রয়েছে বলে জানালেন পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান।
গত বুধবার রাতে পার্কের কোয়ারিন্টাইন বেষ্টনীতে ওই শাবকের জন্ম হলেও বৃহস্পতিবার সকালে খাবার দিতে গিয়ে মায়ের পিঠে লেপ্টে থাকা শাবক দুইটি নজরে পড়ে পার্ক কর্তৃপক্ষের।
সাফরি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান, কালো ঘন পশমে দেহ ঢাকা এ বানর পূর্ণ বয়সে ৯-১০ইঞ্চি আকারের এবং ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। তবে এদের মাথায় সাদা তুলার মতো ঝুঁটি ও হাত-পায়ে সাদা পশম থাকে। শরীরে অনেক সময় ধূসর বর্ণের পশমও হয়।
তিনি জানান, এদের দেহের চেয়ে লেজ বেশ লম্বা। ২/৩ বছর বয়সেই প্রজননক্ষম হয় এ বানর। ১২০ থেকে ১৫০ দিন গর্ভধারণ করে এরা। প্রতিবার সাধারণত দুইটি বাচ্চা প্রসব করে থাকে।
“এরা আবদ্ধ অবস্থায় ১৫-১৭ বছর এবং মুক্ত পরিবেশে ১২/১৩ বছর বাঁচে।”
শাবক বানর প্রায় তিন মাস মায়ের বুকের দুধ পান করে থাকে। তিন মাস পর অন্য খাবার খেতে শুরু করে। গাছের, ছাল, কষ, পাতার রস, রেজিন, বিভিন্ন ফল পরিণত বয়সী বানরের প্রধান খাবার বলে জানান তিনি।
শনিবার পার্কের বিশেষ তত্ত্বাবধানে থাকা বেস্টনীতে সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট আকৃতির মা বানরের পিঠে শাবক দুইটি শক্তভাবে আকড়ে ধরে রয়েছে। কাউকে দেখলেই তারা অত্যন্ত সতর্কভাবে এদিক ওইদিক ছোটাছুটি করছে।
ভালোভাবে লক্ষ্য না করলে পিঠের বাচ্চা দুইটিকে বোঝাই যায় না। এদের দেখতে অনেকটা ছোট সিংহের মত মনে হয়। মাথায় সাদা পশমের ঝুঁটি রয়েছে।