জেলার পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে শনিবার রাতে ফারদিন মাহমুদ রাফিন নামে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় ‘সন্দেহ’ হওয়ায় তারা অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
ফারদিন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শৌলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী সেলিম মাহমুদ হাওলাদারের ছেলে এবং ইন্দুকানী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
ফারদিন তার মায়ের সঙ্গে শহরের পশ্চিম মাছিমপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
রাফিনের মামা ইমরান হাওলাদার বলেন, “শনিবার মাগরিবের নামাজের পরপর কার বোন তাকে ফোন দিয়ে জানায় যে, রাফিন বাসার ছাদে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। ”
পরে তার বোন ও ভগ্নিসহ কয়েকজন রাফিনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ইমরান।
হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফ হাসান বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাফিন নামের ওই যুবককে অচেতন অবস্থায় তার মাসহ পরিবারের কয়েকজন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।
“এ সময় কর্তব্যরত তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ছেলেটির গলায় ও শরীরর বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।”
পুলিশ সুপার বলেন, রাফিনের মৃত্যুর ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।