ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার দুই জন পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজারে আট লাখ ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুজন ২৪ ঘণ্টার মাথায় টেকনাফের পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2019, 06:58 AM
Updated : 14 Dec 2019, 07:41 AM

গ্রেপ্তার দুইজনকে নিয়ে পুলিশ শনিবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী গাজীপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ‘মাদক উদ্ধার অভিযানে’ গেলে সেখানে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য।

নিহত মো. আমিন ওরফে নূর হাফেজ (৩২) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে এবং মোহাম্মদ সোহেল (২৭) হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার মো. সাব্বির আহম্মদের ছেলে।

হাফেজ ও সোহেলসহ মোট চারজনকে শুক্রবার ভোররাতে রঙ্গীখালী এলাকা থেকে আটক করে র‌্যাব।

তাদের কাছ থেকে  ৮ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা, দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি দেশীয় বন্দুক ও ৭০টি গুলি উদ্ধারের কথা জানান  র‌্যাব-৭ এর অ্যা্ডজুটেন্ট এএসপি মাশকুর রহমান।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, “নূর আলম ওরফে নূর হাফেজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা গডফাদার। সে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের সেকেন্ড-ইন কমান্ড নামে পরিচিত।”

গ্রেপ্তার ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। টেকনাফ থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

তিনি বলেন, নূর হাফেজ ও তার সহযোগী সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে আরও ‘ইয়াবার মজুদ’ থাকার তথ্য জানায়। সেই ইয়াবা উদ্ধার এবং তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে শনিবার ভোররাতে তাদের নিয়েই রঙ্গীখালী গাজীপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি দল।

“পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্র আসামিদের ছিনিয়ে নিতে সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে হাফেজ ও সোহেলকে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”

হাফেজ ও সোহেলকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, এ অভিযানে ৯৫ হাজার ইয়াবা, ছয়টি দেশে তৈরি বন্দুক ও ১৮টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ অভিযানে টেকনাফ থানার এসআই মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এএসআই মো. মিশকাত ও সঞ্জীব দত্ত, কনস্টেবল মো. মহিউদ্দিন ও মো. সেকান্দরও আহত হয়েছেন এবং তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।