পাটকল শ্রমিকদের সঙ্গে বিজেএমসির বৈঠক ১৫ ডিসেম্বর

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফার আন্দোলনের মুখে জরুরি সভা ডেকেছে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি)।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2019, 05:51 AM
Updated : 14 Dec 2019, 05:51 AM

রাজশাহী জুট মিলস সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান জরুরি সভা ডেকেছেন।

“সভায় পাটকল শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দ ও সব মিলের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে রোববার বিকেল ৩টায় বিজেএমসির সভা কক্ষে এ সভা ডাকা হয়েছে।”

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও সা. সেবা নাসিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই জরুরি সভার প্রেক্ষিতে শুক্রবার গভীর রাতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের অমরণ অনশন স্থগিতের ঘোষণা দেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, ওই সভায় দাবি মানা হলে আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে। আর দাবি মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকরা গত ২৩ নভেম্বর থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সভা, বিক্ষোভ মিছিলসহ ধর্মঘটের মত কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ ১১ দফার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীর সিদ্ধান্ত বাতিল, কাঁচা পাট কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করার দাবি রয়েছে।

গত ১০ ডিসেম্বর দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের মধ্যে ১২টির শ্রমিকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। রাজশাহীতে একটি, খুলনা অঞ্চলে নয়টি, নরসিংদীতে একটি ও চট্টগামে একটি পাটকলের শ্রমিকরা এ আমরণ অনশনে যোগ দেন।

এর মধ্যে খুলনায় অংশ নেওয়া এক শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া অন্যান্য জায়গার মত রাজশাহীতেও  অনশন চলাকালে বেশ কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। যাদের মধ্যে সাতজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অনশন স্থগিত ঘোষণার পর আন্দোলনরত এই ১২টি পাটকলের একটি রাজশাহীর কাটাখালীতে অবস্থিত রাজশাহী জুটমিলের প্রধান ফটকের সামনে থেকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে গেছেন।