উল্লাপাড়া আমলি আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লাপাড়া মডেল থানার এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, “
“আব্দুর রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তিনদিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।”
গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চুল কর্তনের এ ঘটনা ঘটে। এরপর ২ ডিসেম্বর এ ঘটনায় উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই গৃহবধূ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঘটনার দিন ওই নারী তার এক আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার জন্য ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের খোঁজে বের হন। পথে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ ও তার চার সহযোগী ওই নারীর পথরোধ করেন।
এ সময় গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাকে ওই নারীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন রশীদ ও তার সহযোগীরা।
এতে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে তাদের সামনে তাকে বিবস্ত্র করে মারপিট করেন এবং পরে কয়েকশ লোকের সামনে রশীদ ও তার সহযোগীরা বটি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দেন।
এ ঘটনায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লশিদ ছাড়াও তার চার সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে বলে উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ জানান।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, গজাইল গ্রামের মোজাহারের ছেলে মুনসুর (৩৮), বাহের প্রামাণিকের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪০) ও শহিদুল ইসলাম (৩২)।
মামলা দায়েরের ছয়দিনের মাথায় এ ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উল্লাপাড়া থানাকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ওই দিন এক আইনজীবী গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর আব্দুল রশীদ মঙ্গলবার সকালে উল্লাপাড়া আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।