রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে বুধবার রাত ৯টার দিকে মুক্তা পারভীনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে বিরল থানার এসআই বাদশা আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
মুক্তা বিরলের মঙ্গলপুর ইউনিয়নের আজিজার রহমানের ছেলে মাইনুল ইসলামের স্ত্রী এবং দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে ছিলেন।
মুক্তার বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৮ সালের ২ মার্চ তার মেয়ের সঙ্গে মাইনুলের বিয়ে হয় এবং তাদের দশ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মাইনুল হঠাৎ করেই যৌতুকের টাকা দাবিতে পারভীনের উপর নির্যাতন শুরু করে।
“মৃত্যুর আগে মুক্তা ফোনে পরিবারকে জানায়, তোমাদের টাকা নেই নেই তো আমাকে এখানে কেনো রেখেছো, আমাকে নিয়ে যাও।”
মুক্তার বোন রুমা বলেন, ইতিপূর্বে তার বোনকে মাইনুল নির্যাতন করেছিল। তার বোনের কখন মৃত্যু হয়েছে তারা জানেন না। তাদের বুধবার সন্ধ্যায় জানানো হয়েছে।
“এর আগেও মাইনুলের বিয়ে হয়েছিল এবং সেই স্ত্রীরও ‘অপমৃত্যু’ হয়েছিল। কিন্তু সেটা গোপন রেখে মুক্তাকে সে বিয়ে করে। বিয়ের অনেক পরে মুক্তার গর্ভে সন্তান আসার পর এ কথা জানাজানি হয়।”
এসআই সাংবাদিকদের বলেন, “মৃতের গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে এবং লাশ মেঝেতে পড়ে ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় অপমৃত্যুর মামলা করা করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সেবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কারণ ওই সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।